ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নগরীতে ১২ গণ্ডা জায়গার মূল্য ২২ হাজার টাকা!

নিউজ ডেস্ক ::

নগরীতে এক গণ্ডা জায়গার দাম মাত্র ১ হাজার ৮৩৩ টাকা ৩৩ পয়সা! এ হিসেবে ১২ গণ্ডা জায়গার দাম হয় ২২ হাজার টাকা। এ ২২ হাজার টাকায় নগরীতে ১২ গণ্ডা জায়গা বিক্রি হয়েছে কিংবা কেনা হয়েছে এমন দলিল খুব কম সময়ের মধ্যেই তৈরি করে দেয় একটি চক্র। সেই চক্রে হাত পড়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের। ফল হিসেবে বিপুল জাল দলিল ও জাল দলিল তৈরির নকল সিলসহ দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার দুইজন হলেন- হাবিব উল্লাহ (৫৬) ও মোহাম্মদ ইউসুফ (৪২)। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার নামে বানানো ৭৫টি নকল সিল, ভুয়া দলিল, জমির পর্চা, খতিয়ান এবং ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্ট হিলের আইনজীবী দোয়েল ভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির।
এ বিষয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ‘চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার ভূমি অফিসের সাব-রেজিস্ট্রার ও কর্মকর্তাদের রাবার স্ট্যাম্প (সীলমোহর) দিয়ে জমির ভুয়া খতিয়ান, নামজারি, জাল দলিল তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন।
এ পুলিশ কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চক্রের সদস্যরা চট্টগ্রাম শহরে ১২ গন্ডা জমি মাত্র ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বা কিনেছেন এমন দলিল তৈরি করে দেন। তাদের কাছ থেকে এসব দলিল কিনে ভূমিদস্যুরা প্রকৃত মালিকদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে হয়রানি করেন।
তথ্য অনুযায়ী, এ দলিলগুলো আবার ভূমি দস্যুদের টাকা কামানোর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। জাল দলিলগুলো সংশ্লিষ্ট ভূমির প্রকৃত মালিকদেরকে দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে চক্রের সদস্যরা। টাকা না দিলে মামলা করে হয়রানির হুমকি দেয়। এ ধরনের মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে জায়গার প্রকৃত মালিকরা চক্রের সদস্যদেরকে ‘কিছু’ দিয়ে দেয়। এরপর তারা সরে যায়। একইভাবে অন্য জায়গার মালিকদেরও ফাঁদে ফেলা হয়। এভাবেই চলে তাদের কার্যক্রম, বললেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

পাঠকের মতামত: